পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানালেন, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষের (অনার্স) মেধাবী ছাত্র ও সাবেক ছাত্র নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, দূর সময়ের সংগ্রামী ছাত্র নেতা মোঃ অাবু হানিফ। তিনি বলেন যারা সব সময় পাশে ছিলো আমার অভিভাবক হয়ে, বিশেষ করে মোঃ শহিদুল ভাই (লেকচারার কুষ্টিয়া ইসলামী কলেজ), মোঃ রনি ভাই (লেকচারার কুষ্টিয়া ইসলামী কলেজ), মোঃ মেহেদী ভাই এস আই ( সাব ইন্সপেক্টর) এছাড়া কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদ, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন হোসেন সহ কুষ্টিয়া বাসীকে জানাই ঈদ -উল-আযহার শুভেচ্ছা।
এক শুভেচ্ছা বার্তায় সাবেক ছাত্রনেতা আবু হানিফ
এ দেশে এই উৎসবটিকে আবার কুরবানি’র ঈদ নামে সবাই চেনে। ঈদ উল আযহা হলো ত্যাগের উৎসব। এই দিনটিতে মুসলমানেরা তাদের সাধ্যমত ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কুরবানি বা জবাই দিয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে যার যাকাত দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাঁর ওপর ঈদ উল আযহা উপলক্ষেই পশু কুরবানি করাটি ওয়াজীব।
আর বারবার ফিরে আসে ‘ঈদ’। ঈদ এর অর্থটাই হচ্ছে ফিরে আসা। এমন এই দিনকে ঈদ বলা হয়, একে অপরের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এই জন্য যে মানুষ বারবার একত্রিত হয় এবং সাধ্যমতো যার যা উপার্জন তা নিয়েই আনন্দ উৎসব করে। তাই ঈদ দ্বারাই মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে নিয়ামাত কিংবা অনুগ্রহে ধন্য করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক মুসলিম উম্মাদের প্রতি নিয়ামাত হিসেবেই ঈদ দান করেছে। তাই এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। আমি এই কামনা করি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আঘাতে এবারে হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব। কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।
এসময় তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে নিরানন্দ, ভয় ও আতঙ্ক। এ অদৃশ্য আততায়ী করোনার কবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমি মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট দোয়া করি।
তিনি আরও বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে থাকেন, নিরাপদে থাকে। তাই উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যহত রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ’কেই বারবার ক্ষমতায় রাখতে হবে। এ জন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দলের জন্য কাজ করতে হবে এবং কারোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তিপেতে ঘরেই থাকি।