কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর বাজারে নেই কোন নৈশপ্রহরী ঝুঁকিতে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যেকোন মুহুর্তে চুরি সংঘটিত হওয়ার আশংকায় নির্ঘুম রাত পার করছেন ব্যবসায়ীরা বলে জানা গেছে।
মহেন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী সুলতান মোল্লা, সামছুল আলম সিদ্দিক, সামছুল আলম খান, ডা. আলতাফ,ডা. জিল্লুর রহমান সহ একাধিক দোকানী জানান, বাজারে ১২০ টি ছোটবড় দোকান রয়েছে নৈশপ্রহরীদের সঠিকভাবে বেতন না দেবার কারনে চাকরী ছেড়ে চলে গেছেন তারা। এর প্রধান কারন আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপের রেষারেষি । ইতিপূর্বে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ খান বাজার কমিটির সভাপতি থাকাকালীন অপর গ্রুপ আওয়ামীলীগ সমর্থীত আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা সমর্থিত দোকানীরা মাস শেষে নৈশ প্রহরীর টাকা না দিয়ে টালবাহানা করায় ঠিকমতো বেতন না পাবার কারনে তারা কাজ ছেড়ে চলে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিকবার আলোচনায় বসেও কোন সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে বাদশাকে সভাপতি করলে ফারুখ সমর্থিতরা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে। ৩ মাস পূর্বে কুমারখালী থানার ওসি তদন্ত মো. মামুনুর রশীদ বাজার কমিটির ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা বসলেও খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলেন লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য দোকানে রেখে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারেননা। প্রতিটি রাত কাটে আতংকে। তারা বলেন প্রায় ২ মাস কোন নৈশপ্রহরী নেই মহেন্দ্রপুর বাজারে।
এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুখ আহমেদ খান বলেন, কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমি এখন সভাপতি নই।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান বিষয়টি সমন্ধে আমি অবগত। ইতিপূর্বে একাধিকবার বসেও সমাধান হয়নি। তবে প্রশাসনিক ভাবে শক্ত ভুমিকা রেখে সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।